শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে গেলো। রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিনটি ধার্য করেছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত। আজ (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে বিচারক এজলাসে এসে বলেন, ‘মামলার রায় এখনও প্রস্তুত না হওয়ায় আগামী এই দিন ধার্য করা হলো।’
মামলাটির ২২ আসামি এজলাসে উপস্থিত ছিল। আদালতে আসার পর তাদের স্বাভাবিক দেখিয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছেন। কাউকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে আজ সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে মহানগর দায়রা জজ আদালতে এসেছে মামলাটির ২২ আসামি। এরপর আদালতের হাজতখানায় নিয়ে রাখা হয় তাদের। সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে আসামিদের কড়া নিরাপত্তায় আদালতের এজলাসে নিয়ে আসে পুলিশ।
গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এরপর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিনটি ধার্য করেছিলেন। কিন্তু রায় প্রস্তুত না থাকায় পিছিয়ে গেলো।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির পুনরায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আবেদন করে। পরে অভিযুক্ত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
গত ১৪ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
মামলায় মোট ৪৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ৬ জনের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আছে তিন জন। অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
ভয়েস/আআ